গত কয়েকমাস ধরে টানা আনাবৃষটির কারণে ডোবা,নালা,খাল সব শুকিয়ে যাবার উপক্রম। ঘেরের ভিতর যে ছোট পুকুর বা নালা থাকে তার সব চিংড়ি ও সাদা মাছ মরে প্রায় শেষ।
খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নের উত্তর বিলপাবলা গ্রামের ঘের ব্যাবসায়ী বলাই মণ্ডল জানান, তার সাড়ে তিন বিঘার একটি ঘেরে সব চিংড়ি ও মাছ প্রায় মরে শেষ নতুন রেনু পোনা ছাড়ারতো কোন উপায় দেখছেন না। সাধারনত চৈত্র বা বৈশাখ মাসের মাঝামঝি সময়ে অধিকাংশ রেনু পোনা ছাড়া হয়ে যায়। কিন্তু এ বছর কন ভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। আবহাওয়া এতটাই উষ্ণ এবং দীর্ঘ দিন বৃষ্টি না হওয়ায় ঘেরে পানি শূন্যতার কারনে চিংড়ি ও সাদা মাছ আর জীবিত থাকছে না। ধার দেনা করে অধিকাংশ ঘের ব্যবসায়ী ঘের করে । এ সময় কিছু চিংড়ি পিস হিসাবে রেখে দেয় যে গুলো ভাদ্র-আশ্বিন মাসে বিক্রি করে কিছু টাকা পায় এবং এই টাকা দিয়ে নতুন পোনার খাবার দিতে পারে। কিন্তু এবার সব মরে শেষ চাষীরা খুব অনিশ্চিত ভবিষ্যতে দিন কাটাচ্ছে। তারা এ লোকসান পুষিয়ে ঘুরে দাড়াতে তাদের সরকারি সহায়তা প্রয়োজন বলে জানান তারা।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের এসোসিয়েট প্রফেসর মাসুদুর রহমান বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। আমরা নিজেরাই এ বিরূপ আবহাওয়ার জন্য দায়ী।
সকল ঘের ব্যাবসায়ী ও দেশের সকল জনগনের প্রকৃতি মাতার কাছে একটাই চাওয়া, তিনি যেন তার এই নিষ্ঠরতা থেকে সকলকে মুক্তি দেন এবং প্রকৃতিকে সবুজে শ্যামলে ভরিয়ে দেন। চাষিরা যেন আবার হাসতে পারে।