শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের সেই ভিক্ষুকের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ি) আসনের সাংসদ উম্মে কুলসুম স্মৃতি। সোমবার (৩১ মে) বিকেলে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের পূর্ব খামার দশলিয়া গ্রামের ভিক্ষুক কুদ্দুস আলীর (৬৭) বাড়িতে প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট মো. আনোয়ারুল ইসলাম আজিমকে পাঠিয়ে একটি হুইলচেয়ার উপহার দেন এমপি স্মৃতি। ভিক্ষুক কুদ্দস আলীর স্ত্রী করিমন নেছা (৬৩) জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন চালিয়ে আসছেন। তার স্বামী কুদ্দুস আলী কয়েক বছর ধরে প্যারালাইজড রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ হয়। হাটাচলা করতে অক্ষম। তার এই চলাফেরার কষ্ট দেখে কয়েক বছর আগে তাকে একটি হুইলচেয়ার দেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। বর্তমানে সেটি নষ্ট হওয়ায় ব্যবহারে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তারপরেও নষ্ট চেয়ারটি নিয়েই পথে-প্রান্তরে ভিক্ষাবৃত্তির জন্য ঘুরে বেড়াতেন এই বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। তিনি বলেন, ‘মানষের বাড়িত ভিক্ষা করি খাই হামরা। ভাঙা চেয়ার ঠেলতেও আগেয় না। হামার এমপি নয়া চেয়ার দিলি। আর কষ্ট হবার নয়। এখন চলিফিরি খাবার পামো। হামরা খুব শান্তি পাচি।’ এদিকে, দীর্ঘদিন ধরে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নেয়া এই ভিক্ষুক দম্পক্তি একটি ঘরের আকুতি জানিয়েছেন। জানা গেছে, এই ভিক্ষুক দম্পত্তির ভাঙা হুইলচেয়ার ঠেলে ভিক্ষাবৃত্তি করার ঘটনাটি এক ব্যক্তি সোস্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেন। যা সঙ্গে সঙ্গে নজরে আসে ভোরের ডাকের স্টাফ রিপোর্টার ইমরুল কাওছার ইমন নামে এক সংবাদকর্মীর। পরে তিনি এমপিকে কুদ্দুস আলীর দুর্দশার কথা অবগত করেন। এরপর এমপি উম্মে কুলসুম স্মৃতি এই বিকলাঙ্গ বৃদ্ধকে একটি হুইলচেয়ার দেয়ার আশ্বাস দেন। এ নিয়ে এমপির প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট মো. আনোয়ারুল ইসলাম আজিম জানান, বিকেলে ভিক্ষুক কুদ্দুস আলীর বাড়িতে গিয়ে তার শারীরিক খোঁজ-খবর নেন তিনি। এরপর এমপির পাঠানো উপহারের হুইলচেয়ারটি প্রদান করেন তিনি।