কুমিল্লার তিতাসে সাপ কামড়ানোর পর পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রের অপচিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।গত রবিবার বিকেলে সাপের কামড়ে শিক্ষার্থী ওমর ফরুকের মৃত্যু হয়। নিহত শিক্ষার্থী ওমর ফারুক কলাকান্দি ইউনিয়নের মো. রাসেল মিয়ার ছেলে ও তিতাস উপজেলার ডিজিটাল স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।
এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থী ওমর ফরুক আজ রবিবার শুকাতে দেওয়া কাপড় আনার সময় তাকে সাপে কামড়ায়। সে চিৎকার দিলে বাড়ির লোকজন তার আঙুলে ও হাতে দড়ি বেঁধে রাখে। ওঝাকে খবর দিলে সে এসে তন্ত্রমন্ত্র পড়ে কাঁটা দিয়ে সাপে কামড়ানো হাতে ছোট ছোট ফুটো করে। শিক্ষার্থীর শরীর বিষমুক্ত হয়েছে মনে করে তার পরিবারের সদস্যরা হাতের দড়ি খুলে ফেলেন। শিক্ষার্থীর হাতের বাঁধন খুলে ফেলার আধাঘন্টার মধ্যেই শিক্ষার্থী মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সাপের কামড়ে শিক্ষার্থীর অপচিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।
স্থানীয় শিক্ষক মো. মানিক চান বলেন, সাপে কাটার পর তাঁকে হাসপাতালে না নিয়ে বাড়িতে ওঝা দিয়ে ভুল চিকিৎসা করা হয়েছে। শিক্ষার্থী ওমর ফারুক ওঝার অপচিকিৎসায় মারা গেছে।
তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সরফরাজ খান বলেন, এখনো মানুষের আদিকালের ওঝাদের তন্ত্রমন্ত্র বিশ্বাস করে!!! চিকিৎসার মাধ্যমে সাপে কামড়ানো রোগী ভালো হয়ে যায়।