এ ঘটনায় রাজারহাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে রফিকুল ইসলামের বসত বাড়িতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কাঠের ডাসা ও লাঠি ছোরা নিয়ে অতর্কিত হামলা ও ভাঙচুরের তান্ডব চালায় একই এলাকার মোঃ জয়েনউদ্দিন, জোয়াদ আলী, মজিবর রহমান, জয়নাল আবেদীন-সহ অজ্ঞাত ২০/৩০ জন।
এ সময় দুর্বত্তরা রফিকুল ইসলাম সহ তার প্রতিবেশীর বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর করে এবং রফিকুল ইসলামকে এলোপাতারি পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় রফিকুল ইসলামের মা সাহেরা খাতুনকে (৫০) ও তার ভাবী জরিনা বেগম (৪০) তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে দূর্বত্তরা তাদেরকেও কোঁদাল দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। অনাধিকার তাদের ৫টি বাড়িতে প্রবেশ করে ঘরের বেড়া-টাটি সাংসারিক আসবাব পত্র ও বাক্স ভেঙ্গে জমি বন্ধকের রক্ষিত এক লক্ষ টাকা লুট করা সহ প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করেন। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে দূর্বৃত্তরা চলে যায় এবং রফিকুল ইসলাম ও তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যায়। আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় আহতদেরকে রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। পরে রফিকুল ইসলাম প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে রাজারহাট থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আহত রফিকুল ইসলাম জানান, এই জয়েন উদ্দিন গং পতিত জমিতে ছাগল বাঁধার অজুহাতে আমাদের উপর এ অতর্কিত হামলা করছে। আমি এলাকার স্হানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বিচার দিয়েও বিচার পাইনি। আবারও আমার বসতবাড়িতে হামলা করে আমাকে সহ আমার স্ত্রী পরিবারের সদস্যের জানে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এখনো আমরা হাসপাতালে ভর্তি আছি। বিচারের আশায় রাজারহাট থানায় অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা স্বাস্হ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, গতকাল রাতে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় ৩ জন হাসপালে আসে, দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করে, বর্তমানে তারা আশংকা মুক্ত তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্হায় রয়েছে।
এ ব্যাপারে রাজারহাট থানার ওসি রাজু সরকার বলেন দুপক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।