কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার বলদাখাল -শ্রীরায়েরচর সড়কের লামচুরী এলাকা থেকে গত ৯ অক্টবর শনিবার উদ্ধার করা হয় অজ্ঞাতনামা যুবকের লাশ পরে সংবাদ মাধ্যম ও ফেইসবুকে যুবকের লাশের ছবি দেখে রবিবার সকালে তার বড় ভাই আসাদুল সরদার দাউদকান্দি মডেল থানায় এসে তার পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। ওই যুবকের নাম মো: ফাইজুল হক সরদার (৩৫)। সে বরিশাল উজিরপুর উপজেলার বড়কোঠা এলাকার আক্কাস সরদারের ছেলে এবং পেশায় সে একজন টেষ্কি চালক ছিলেন। ওই দিন সন্ধ্যায় তার নিজস্ব রেন্ট-এ- কার ভাড়া নিয়ে হত্যা করে লামচুরী এলাকায় ফেলে খুনি চক্র গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যায়। এই ব্যাপারে দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের পর চাঞ্চল্যকর হত্যা রহস্য উদঘাটন করতে, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে, ঢাকার গাজীপুর বুটবাজার দুর্গম এলাকায় মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে হত্যার সাথে জড়িত। প্রথমে ইয়াছিন মোল্লা ওরফে আকাশকে গ্রেফতার করে মডেল থানা পুলিশ ।
এএসআই, মোঃ আনোয়ার হোসেন ও এস আই জিয়াউল রহমানের নেতৃত্বে ইয়াছিন মোল্লা আকাশের দেওয়া তথ্যমতে মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে রফিকুল ইসলাম, মোঃ তানভির আহম্মেদ হিমেল, আকরাম হোসেন সানি, মোঃ সোহেল মিয়া কে গ্রেফতার করে ছিনতাই হওয়া প্রাইভেটকার মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। গ্রেফতার কৃত আসামি হলেন, গাজীপুর জেলার গাছা থানার দক্ষিণ কলমেশ্চর গ্রামের তোফায়েল হোসেনের পুত্র ইয়াছিন মোল্লা আকাশ (২০), একই জেলা ও থানার উত্তর খাইলকুর বটতলা গ্রামের মোঃ তাজুল ইসলামের পুত্র মোঃ তানভির আহমেদ হিমেল (২১), শেরপুর জেলার শেরপুর সদর থানার চর শ্রীপুর গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের পুত্র মোঃ রফিকুল ইসলাম (১৮), গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার হাবিবপুর গ্রামের মৃত ফজলুল হকের পুত্র আকরাম হাসান সানি (২৮), টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার ঘাইটাল পশ্চিম পাড়া গ্রামের মোঃ হাতেম আলীর পুত্র মোঃ সোহেল মিয়া (৩৪)। দাউদকান্দি মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, নিহত মো: ফাইজুল হক সরদার পেশায় একজন টেক্সি চালক ছিলেন। সে ঢাকা মগবাজার বসবাস করতেন। ওই দিন সন্ধ্যায় তার নিজস্ব রেন্ট-এ- কার ভাড়া নিয়ে এসে হত্যা করে লামচুরী এলাকায় ফেলে খুনি চক্র গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যায়। এই মামলার সূত্র ধরে আসামিদের গ্রেফতার করে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।