কুমিল্লার দাউদকান্দিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী খন্দকার মোশতাক আহমেদের প্রতিকৃতিতে ইটপাটকেল-জুতা নিক্ষেপ করে ঘৃণা প্রদর্শন করেছে স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট ২০২১) সকালে উপজেলার দশপাড়া গ্রামে খন্দকার মোশতাকের বাড়ির সামনে এ ঘৃণা প্রদর্শন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। দাউদকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী, তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী যে খন্দকার মোশতাক -এটা প্রমাণিত সত্য।
সরকারের কাছে প্রাণের দাবি, অবিলম্বে কমিশন গঠন করে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫, নির্মম হত্যাকাণ্ডের অন্তরালে সকল মাস্টারমাইন্ডদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনা হোক। খুনী মোশতাকের কলঙ্কজনক অমকর্মের দায় দাউদকান্দিবাসী তথা কুমিল্লাবাসী বহন করা চাই না। তিনি বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী-রাজাকারদের বিচারের ব্যবস্থা করেছেন। আদালতের রায়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকারীদের কয়েকজনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে । পলাতক বাকি আসামিদের ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসময় মোহাম্মদ আলী আরও বলেন, কুমিল্লাবাসীর পক্ষ থেকে জাতীয় বেঈমানখ্যাত মোশতাকের স্থাবর-অস্থাবর সম্পওি বাজেয়াপ্ত করার জোর দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে খন্দকার মোশতাকের একটি ঘৃণা স্তম্ভ নির্মাণের দাবিও করছি।
যাতে তরুণ প্রজন্ম জাতীয় বেঈমানকে চিনতে পারে এবং প্রতিবছর শোকের মাস আগেস্ট সেখানে ঘৃণা প্রদর্শন করতে পারে। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবু বাসুদেব ঘোষ, মেঘনা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল ছালাম, দাউদকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহসান হাবিব চৌধুরী লিলমিয়া, পৌর মেয়র নাইম ইউসুফ সেইন, মেঘনা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা মোঃ মজিবুর রহমান মজিব, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেবুন নেছা জেবুন, সাধারণ সম্পাদক মোসাম্মৎ লায়লা হাসান, মেঘনা উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসাম্মৎ হালিমা আক্তার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম নয়ন, কুমিল্লা উত্তর জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মোঃ রকিবউদ্দিন রকিবসহ আরও অনেক।
পরে খন্দকার মোশতাক আহমেদের প্রতিকৃতিতে ঘৃণা প্রদর্শন, ইটপাটকেল ও জুতা নিক্ষেপ করেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং কুমিল্লার সর্বস্তরের জনতা অংশ নেন।