দুই বছর আগেও নতুন বছর ও শিক্ষাবর্ষের শুরু মানেই ছিল সারা দেশে স্কুলে স্কুলে উৎসব। শিক্ষার্থীরা দল বেঁধে খালি হাতে স্কুলে গিয়ে আনন্দ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিনা মূল্যে পাওয়া নতুন বইয়ের গন্ধ শুঁকতে শুঁকতে বাড়ি ফিরত। কিন্তু দুই বছর ধরে সেই আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মাঝে রেখা টানল করোনার সংক্রমণ। তবে আনন্দ উৎসবে রেখা টানলেও বই বিতরণের কাজে বড় বাধা হতে পারেনি করোনার সংক্রমণ।
ভিন্ন প্রক্রিয়ায় বছরের শুরুর দিনেই আজ শনিবার সারা দেশের মতো দাউদকান্দি উপজেলায় স্কুলে স্কুলে শিক্ষার্থীদের হাতে বই দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এক দিনে বা একসঙ্গে বই না দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন দিন বা সময়ে দেওয়া হচ্ছে বিনা মূল্যের বই। ফলে, এবার বই বিতরণের কাজটি চলবে আরও সপ্তাহব্যাপী ।
উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুল ইসলাম খানের নির্দেশে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পৌর সদরের দাউদকান্দি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বই বিতরণ করা শুরু হয়েছে। দাউদকান্দি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ নূরুল ইসলাম উপস্থিত থেকে ছাত্র ছাত্রীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, দাউদকান্দি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেছবাহ উদ্দিন সরকার, সমাজ সেবক একেএম পারভেজ সাজ্জাদ মিঠু, স্হানীয় সাংবাদিক লিটন সরকার বাদল,সাংবাদিক শহীদুল্লাহ্ সাদা ভাই, সিনিয়র শিক্ষিকা পুতুল রানী দাস, শিক্ষক মাহম্মদ হোসেনসহ আরও অনেকে।
পৌরসভার সাহাপাড়া মাতৃছায়া একাডেমি, আদর্শ শিশু নিকেতন, উত্তর সতানন্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নন্দনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিন দেখা গেছে, ভিড় ছাড়াই আলাদা আলাদা শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের বই বিতরণ করা হচ্ছে।