দাউদকান্দিতে ছুরিকাঘাতে ইখতেয়ার হাসান ইমন (১৮) নামে এক স্কুলছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে। ২০ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার মালাখালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইখতেয়ার হাসান ইমন উপজেলার পিপইয়াকান্দি গ্রামের মোঃ আলাউদ্দিন হোসেনের ছেলে।
পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, নিহত ইমনের ফুফুর বাড়ি নারিকেলতলা। গতকাল নারকেলতলা গ্রামে ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মাহফিলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা দেয় ইমন। পথিমধ্যে পূর্বের এক ফুচকাওয়ালা কে কেন্দ্র করে মালাখালা ও নারিকেলতলা গ্রামের কিছু নাম জানা- অজানা ইমনকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো ছুরি, রানদা দিয়ে তাকে আঘাত করে।
ঘটনাস্থল থেকে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় গ্রামবাসী মিলে ইমনকে প্রথমে গৌরীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজে রাত ১১ টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমনকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
নিহত ইমনের বাবা আলাউদ্দিন মিয়া বলেন,ইমন আমার একমাত্র ছেলে। বরকোটা স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। কি জন্য আমার ছেলেকে হত্যা করেছে তা আমি জানিনা। আমার ছেলের হত্যায় জড়িত থাকা মালাখালা গ্রামের মোহাম্মদ নাসিমের নেতৃত্বে যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।
আইনজীবী নাসির বলেন, ইমন আমার সম্পর্কে ভাতিজা। আমি এ খবর শুনে কুমিল্লা থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা হই। হসপিটালে পৌঁছে ইমনকে জীবিত অবস্থায় দেখতে পাই। ইমনের পিঠে আঘাত গুরুতর হওয়ায় ফুসফুসের সাথে রক্ত ক্ষরণ হয় প্রয়োজন অনুযায়ী দ্রুত (আইসিউতে) বেড পাওয়া যায়নি। রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। যারা এ ঘটনায় জড়িত আমি তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এবিষয়ে গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাব-ইন্সপেক্টর সৈয়দ ফারুক আহমেদ ইমন হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হত্যার সঠিক কারণ উদঘাটন ও বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে কাজ চলছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।