কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দিতে ক্লুলেস মেহেদী হাসান ভূঁইয়া মহিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত মূল দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশ।
রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান, দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আলমগীর ভূঞা।
গত ৬ ফেব্রুয়ারী বিকালে দাউদকান্দি উপজেলার সদর উত্তর ইউনিয়নের নতুন হাসনাবাদ ভুট্টা ক্ষেত থেকে অজ্ঞাতনামা এক পুরুষের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত শেষে ময়নাতদন্ত করা হয় এবং পরবর্তীতে মৃতের ভাই মাইনুল ইসলাম এর মাধ্যমে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
মেহেদী হাসান ভূইয়া মহিন স্ত্রী সন্তান নিয়ে দাউদকান্দির শহীদ নগর গ্রামে দীর্ঘদিন বসবাস করতেন। সে কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি থানার গোবিন্দপুর পূর্বপাড়া মৃত মফিজুল ইসলামের ছেলে।
এঘটনায় ভিকটিমের ভাই মাইনুল ইসলাম বাদী হয়ে দাউদকান্দি মডেল থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই নাজমুল হোসেন তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে হত্যার সাথে জড়িত আশরাফ উদ্দিন (৩৮) কে চট্টগ্রামের সন্দীপ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে এবং তার তথ্য মতে সহযোগী কেরামত আলী ( ৩৮) কে গ্রেফতার করা হয়
জানা যায়, মাদক বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মেহেদী হাসান ভূইয়া মহিন (৩০) কে হত্যা করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার গোলাপের চর (বর্তমান ষোলপাড়া গ্রামের হাজী হাসমত আলীর ভাড়াটিয়া) মৃত বারেক ব্যাপারীর ছেলে আশরাফ উদ্দিন (৩৮) এবং একই থানা ও জেলার রায়পুর গ্রামের বর্তমান শহীদ নগর মৃত বারেক ফকিরের ছেলে কেরামত আলী (৩৮)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশ জানান।