কুমিল্লা জেলার (হোমনা-মেঘনা) সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হিসাবে এএসপি স্পিনা রানী প্রামাণিক যোগদানের পর থেকে এই অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দক্ষ হাতে সামাল দিচ্ছেন, রাত-বিরাতে মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
মেঘনা থানার বেশিরভাগ ইউনিয়ন নদী বেষ্টিত হওয়ায় আগে চুরি ডাকাতি হলেও তাঁর যোগদানের পর থেকে চুরি ডাকাতি কমে এসেছে। মানুষ যখন তন্দ্রাঘোরে আচ্ছন্ন থাকে তখন তিনি দায়িত্ব পালনে ছুটে চলেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে। তিনি যোগদানের পর থেকে মানুষ এখন শান্তিতে ঘুমাতে পারছেন নিজগৃহে, কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পেলেই তাৎক্ষণিক ছুটে চলেন ঘটনাস্থলে। রেসপনসেবিলিটির দিক দিয়েও তিনি দায়িত্বশীল, জনসেবায় তিনি অতুলনীয় ভূমিকা রাখছেন। বিরোধ মীমাংসা নিস্পত্তিতেও তিনি ইতিবাচক প্রসংশনীয় ভূমিকা রাখছেন। তাঁর কাছে প্রান্তীক জনগোষ্ঠীর কেউ পুলিশী সেবার জন্য গেলে তিনি খুব আন্তরিকভাবে তা সমাধান করার চেষ্টা করেন।
মেঘনা তিতাস উপজেলায় মাদক নির্মূলে তিনি জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছেন। হোমনা-মেঘনায় মাদককারবারীদেরকে তিনি গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন। তাঁর সাফ কথা – এই দুই থানায় মাদকের থাবা থেকে মুক্তি করতে যা যা পদক্ষেপ নিতে হয় তাই করবেন। তাঁর নির্দেশে মাদক নির্মূলে কাজ করছেন এই দুই থানার পুলিশ কর্তারা। নারী নির্যাতন বন্ধে তিনি সোচ্চার রয়েছেন। কোথাও কোনো নারী নির্যাতিতার খবর শুনলেই তিনি তৎক্ষনাৎ ছুটে চলেন। ভিকটিম সাপোর্ট ও নারী নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে তিনি কাজ করে এলাকার সাধারণ মানুষের প্রসংশা কুড়িয়েছেন। নারী সেবায় তিনি অনন্য ভূমিকা রাখায় নির্যাতিত ও অসহায় নারীদের এক ভরসার ঠিকানা হয়েছেন।ফৌজধারী অপরাধ প্রবণতা কমাতে ও সহিংসতারোধে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে তিনি কঠোর অবস্থানে আছেন। এএসপি স্পিনা রানী প্রামাণিক বলেন, কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বিপিএম (বার) স্যারের নির্দেশনায় আমরা জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় কাজ করে যাচ্ছি। আইন সবার জন্য সমান। তাই আইনের সেবা প্রত্যাশী সবার জন্যই থানা উন্মুক্ত হবে। দিন যতই যাচ্ছে জনগণ ও পুলিশের সম্পর্কে উন্নতি হচ্ছে। “সাধারণ জনগণ থানার ওসিকে চেনেন, এএসপিকে নয়। তাই থানার ওসিদের জনবান্ধব হতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “অপরাধীর আলাদা কোনো পরিচয় থাকতে পারে না। অপরাধীর পরিচয় অপরাধী। সমাজ ও দেশের শত্রু তারা। তাই অপরাধীদের কোনো দল-মত থাকতে নেই।”