নওগাঁয় পারিবারিক বিরোধের জের ধরে মা ও মেয়ে দু’জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত মা ও মেয়ে হলেন, নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার আধাইপুর ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামের লবীন উদ্দীনের স্ত্রী হাছনা বানু (৪৮) ও তার মেয়ে লতা পারভীন (২৯)।
মা ও মেয়ের আত্নহত্যার ঘটনাটি নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
পুলিশ ও গ্রামবাসীরা জানায়, একই গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেন এর ছেলে সুলতান হোসেনের সাথে লবিন উদ্দীনের মেয়ে লতা পারভীনের বিয়ে হয়। লতার বিয়ের পর লবিন উদ্দীন তার সবটুকু জমাজমি ছেলে আঃ লতিফ ও মেয়ে লতা পারভীনের নামে লিখে দেন। সম্পতি লতা পারভীন তার ছেলের চাকুরি বাবদ বাবার দেওয়া জমি বিক্রয় করতে চাইলে মা হাছনা বানুর সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। মায়ের দাবী বাবা-মা বেঁচে থাকতে জমি বিক্রয় করা যাবে না। বিষয়টি নিয়ে লতা ও তার স্বামীর মধ্যেও বিরোধ শুরু হয়। এঘটনার এক পর্যায়ে অভিমান করে মেয়ে লতা পারভিন ৭ জুন (সোমবার) সন্ধ্যার পর লেপটিক (ক্লোনাজিপাম) নামক ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে ঐদিনই রাত ৯ টারদিকে তাকে বদলগাছী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে লতাকে নওগাঁ সদর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হলে রাত ২ টারদিকে মেয়ের মৃতদেহ বাড়িতে আনার পর
মেয়ের মৃতদেহ দেখে তার মা পার্শ্ববর্তী নিজ বাড়িতে গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। রাতেই পারিবারিক ভাবে দুটি মৃতদেহ দাফনের চেষ্টা করেন স্বজনরা, কিন্তু গ্রামবাসী ঘটনাটি থানা পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে সাথে সাথে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। মা ও মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে মহাদেবপুর (সার্কেল) এ এসপি টি, এম মাইনুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মা ও মেয়ের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বদলগাছী থানার ওসি মোঃ আতিকুল ইসলাম জানান, পারিবারিক দ্বন্দের কারণে মেয়ে বিষের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেন। মেয়ের মৃতদেহ দেখে মাও আত্মহত্যা করেন। মা ও মেয়ে দু জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য আজ ৮ জুন মঙ্গলবার নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।