কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার নারান্দিয়া কলি মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন তিতাস উপজেলার কৃতিসন্তান শিক্ষা অনুরাগী, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও বিশিষ্ট শিল্পপতি শাহাদাৎ মোশাররাফ খান মুকুল।
গত (০৪ নভেম্বর) উপজেলার নারান্দিয়া কলি মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন এর তারিখ নির্ধারণ করা থাকলেও, এর পূর্বেই একাধিক প্রার্থী না হওয়ায় উক্ত বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য পদে সকল প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
পরবর্তীতে নির্বাচিত সকল অভিভাবক সদস্য বৃন্দ এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের প্রদানকৃত সবোর্চ্চ ভোটে সভাপতি পদে নির্বাচিত হন শাহাদাৎ মোশাররাফ খান মুকুল। উক্ত বিদ্যালয়ের নির্বাচন পরিচালনা করেন তিতাস উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ারা চৌধুরী।
নবনির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দরা হলেন,দাতা সদস্য মোঃ আতিকুর রহমান খান, সদস্য সচিব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল কাশেম, অভিভাবক সদস্য মোঃ জালাল উদ্দিন সরকার, আলী মিয়া, মজিবুর রহমান, সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য মোসাম্মৎ সাহিদা বেগম, সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে মোঃ সিরাজুল হক সরকার, মোহাম্মদ আরজু মিয়া এবং সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে রুবিনা আক্তার নির্বাচিত হন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়ে শাহাদাৎ মোশাররাফ খান মুকুল বলেন, তিতাস উপজেলার “নারানদিয়া কলি মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়” উপজেলার অন্যতম প্রসিদ্ধ একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আমার পূর্বপুরুষরা এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার মানকে যুগোপযোগী এবং জেলার অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ হিসেবে গড়ে তুলতে আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করে যাবো। আমি বিদ্যালয় এর প্রত্যেকটি শিক্ষকদের কঠোরভাবে নির্দেশনা প্রদান করছি, বিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে পাঠ্যপুস্তক এর পাশাপাশি উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে কারিগরি শিক্ষার উপর এবং বাস্তব শিক্ষার উপর শিক্ষার্থীদের মনোনিবেশ করাতে। পরিশেষে আমাকে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত করায় সংশ্লিষ্ট সকলকে এবং বিদ্যালয়ের সকল অভিভাবকদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
উল্লেখ্য, ঢাকার স্বনামধন্য শিল্পপতি শাহাদাৎ মোশাররাফ খান মুকুল, বৃহত্তর দাউদকান্দির তিতাস উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নারান্দিয়া গ্রামের প্রশিদ্ধ “খান বাড়ির” সন্তান। তাহার চাচা তিতাস উপজেলার আরেক কৃতি সন্তান ৭৫ পরবর্তী সামরিক আইন প্রশাসক বিচারপতি সায়েম সরকারের মৎস্য ও প্রাণী বিষয়ক উপদেষ্টা মজিবুর রহমান খান (এম আর খান নামে পরিচিত)। শাহাদাৎ মোশাররাফ খান মুকুল তার নিজ ইউনিয়ন নারান্দিয়াতে কাঠামো এবং অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। গ্রামের অসহায় দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা এবং নানাবিধ মানবিক কার্যক্রমের মাধ্যমে এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়। করোনাকালীন সময়ে তিনি কুমিল্লা উত্তর জেলাবাসীর জন্য প্রায় দুই লক্ষাধিক মাস্ক, বিভিন্ন করোনা প্রতিরোধ সামগ্রিক এবং অসহায় দরিদ্র পরিবারের জন্য মানবিক সহায়তা প্রদান করেছিলেন।