রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:০০ পূর্বাহ্ন

নেত্রকোণার মদনে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ
মুহা. জহিরুল ইসলাম অসীম নেত্রকোণা / ২১২ ভিউ
সর্বশেষ আপডেট : রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩


নেত্রকোনার মদনে দুই পক্ষ মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৫ মাস ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে। আজ শনিবার সকালেও ছয়টি গ্রামের মসজিদের মাইকে সংঘর্ষের ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একত্র হয় হাজারো লোকজন। বৃষ্টি থাকায় অস্ত্রে সজ্জিত লোকজন বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছেন। এতে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।
জানা যায়, নায়েকপুর ইউনিয়নের বাউসা গ্রামের মানিক মিয়া জনতা বাজারের দুই শতাংশ ভূমি একই ইউনিয়নের মাখনা গ্রামের ফৌজদার মিয়ার কাছে বিক্রি করেন। ফৌজদার মিয়া ক্রয়কৃত জায়গায় দোকান ঘর নির্মাণ করায় মানিক মিয়ার টিনসেড, ফৌজদার মিয়া ও শান্তু মিয়ার নব-নির্মিত আধা পাকা দোকান ঘর ভেঙে ফেলে বাজার কমিটি ও এলাকাবাসী। এ ঘটনায় মাখনা গ্রামের ফৌজদার মিয়ার ছেলে সোহেল খান বাদী হয়ে ২০ লাখ টাকার চাঁদাবাজির মামলা করেন। মামলায় বাজার কমিটির সভাপতি আজিজুল হকসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করেন তিনি।এরই জেরে নোয়াগাও, বাউসা, তালুককানাই, আলমশ্রী ও সোনাখালী (৫ গ্রাম এক দল) হয়ে মাখনা গ্রামের সাথে ২০২১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সিংহের বাজারের পাশে গৌরার হাওরে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় কয়েক ঘণ্টা সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই দিন পুলিশ ১১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। পাঁচ মাস ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষে অতিষ্ট স্থানীয় প্রশাসন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলকার একাধিক ব্যাক্তি জানান, সংঘর্ষের পর থেকে নোয়াগাঁও, বাউসা, তালুককানাই আলমশ্রী, সোনাখালী (৫ গ্রামের) লোকজনদের সঙ্গে মাখনা গ্রামের লোকজনের কোনো যোগাযোগ নেই। আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। পাঁচ মাস ধরে জনতা বাজারে মাখনা গ্রামের কোনো লোকজন যাতায়াত না করায় মাখনা গ্রামের কয়েকটি দোকান এখন পর্যন্ত বন্ধ। কোনো অনুষ্ঠান বা কেউ মারা গেলে যাতায়াত করলেই গুনতে হবে জরিমানা এমনটাই সিদ্ধান্ত স্থানীয় সমাজপতিদের। জরিমানার ভয়ে অনেকেই আত্মীয়তার সর্ম্পক নষ্ট করছেন।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.

More News Of This Category
জনপ্রিয়
সর্বশেষ