“হ্যালো আসসালামু আলাইকুম । আমি পুলিশ হেড কোয়ার্টারের সংস্থাপন শাখার ইন্সপেক্টর সালাম বলছি। আপনার নাম পার্বত্য জেলার জন্য নমিনেশন দেয়া হয়েছে। ঠেকাতে চাইলে যোগাযোগ করেন।“
জুলাই মাসের ১০ তারিখে ০১৮৪০…… নম্বর থেকে এভাবেই রাজ়শাহী জেলার একজন পুলিশ সদস্যের কাছে ফোন আসে। ফোন পেয়ে উক্ত পুলিশ সদস্য আরওআই নিরঞ্জন ঘোষকে জানালে তিনি পুলিশ সুপার স্যারকে জানান। পুলিশ সুপার জনাব এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম বার স্যার আমাকে বিষয়টি উদ্ঘাটনের নির্দেশনা দেন। পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশনায় কাজ শুরু হয় এবং ২০ দিনের নিরলস প্রচেষ্টায় প্রতারক মোঃ আল আমিন সরকার , পিতাঃ মোঃ আপেল মাহমুদ সরকার গ্রামঃ চাদপুর ডাকঘরঃ বিরামপুর থানাঃ বিরামপুর জেলাঃ দিনাজপুরকে গতকাল ৩০ জুলাই দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানার সহযোগিতায় আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারক আল আমিন প্রতারণার কথা স্বীকার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের অগণিত সংখ্যক পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে এভাবে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানায়।২০১৫ সাল থেকে সে একাজের সাথে জড়িত এবং একাধিকবার ধরা পড়ার পরেও বন্ধ করেনি। তার প্রকাশ্য কোন জীবিকা নাই এবং প্রতারণার মাধ্যমেই সে শান শওকতে চলে বলে জানায়। বিভিন্ন নামে নিবন্ধন করা বিকাশ এবং নগদের কয়েকটি সিম তার কাছে পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে রাজশাহী জেলার মোহনপুর থানায় মামলা দায়ের করে তাকে বিজ্ঞাদালতে সোপর্দ করা হলে সে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
এই প্রতারককে শনাক্ত করে ধরতে অক্লান্ত পরিশ্রমকরেছে বিরামপুর থানার নবীন এসআই মামুনুর রশীদ। তার জন্য অনেক ভালোবাসা রইলো। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি বিরামপুর থানার ওসি সুমন কুমার মোহন্ত এর প্রতি। এই দুজনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ব্যতীত এ প্রতারককে ধরা সম্ভব হতো না।