মানবতার সেবায় এগিয়ে যাচ্ছেন সুকর্মা ফাউন্ডেশন,করোনা কালীন সময়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করে বাঁচিয়েছেন হাজার মানুষের প্রাণ। এর ধারাবাহিকতায় সুকর্মা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর উদ্যোগে প্রতিদিন ঢাকা ও পাবনায় ৩০০ মানুষকে ইফতার করান।
জানা যায় সুকর্মা ফাউন্ডেশনের ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিদিন ৩ শতাধিক রোজাদারের জন্য তৈরি করা হয় ইফতার।
রোজায় প্রতিদিন রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার রাস্তায় রোজাদারদের জন্য অপেক্ষা করেন সুকর্মা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর ফাউন্ডার শেখ সুহানা ও তার টিম। সড়কে চলাচলরত বিভিন্ন গাড়িচালক ও যাত্রীদের গাড়ি থামিয়ে দেওয়া হয় ইফতার।
প্রতিদিন এখানেই বিতরণ হয় প্রায় দুই শতাধিক প্যাকেট ইফতার। বাকি ইফতারের প্যাকেটগুলো বিতরণ হয় বিভিন্ন মসজিদ, এতিমখানা, এলাকার অসহায়দের মধ্যে।
সুকর্মা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর ফাউন্ডার শেখ সুহানা জানান, প্রথম রোজা থেকে শুরু হয়ে ইফতারের এ আয়োজন প্রতিবছরের ন্যায় শেষ রোজা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
ইফতারে পূর্ব মুহূর্তে গিয়ে দেখা যায়, বিকেল থেকেই রাজধানীর মোহাম্মদপুর ফ্লাইওভারের পূর্ব অংশের সড়কে ইফতারের থলে নিয়ে রোজাদারদের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছেন সুকর্মা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর টিম। বিভিন্ন গাড়ির চালক ও পথচারী ও যাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে নানা পদের ইফতারের প্যাকেট ও পানির বোতল। এছাড়াও পাবনায় সুকর্মা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তৈরি করা হয় আরও ১০০ মানুষের ইফতার।
এতিম, গরিব, মসজিদ ও অসহায়দের মধ্যে বিতরণ করা হয় এসব ইফতার প্যাকেট। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুকর্মা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর ফাউন্ডার শেখ সুহানা জানান, রোজাদারদের ইফতার করানো সাওয়াবের কাজ। সেই চিন্তা থেকেই সুকর্মা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই ক্ষুদ্র আয়োজন।
তিনি আরও বলেন, সমাজের সব বিত্তবানরা যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসেন তাহলে কোন রোজাদার ইফতারের সময় অভুক্ত থাকবে না।
সংবাদ কর্মী হোসাইন মোহাম্মদ দিদার জানান, গত কয়েক বছর ধরে সুকর্মা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ রোজাদারদের ইফতার করিয়ে থাকেন। এছাড়াও করোনায় কর্মহীন মানুষদের সাধ্যমত সহযোগিতা করে যাচ্ছেন ও বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করে মানুষের জীবন বাজিয়েছেন। পাবনার কয়েকক’টি মসজিদের সামনে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করার জন্য পানির ট্যাঙ্ক আর্সেনিকমুক্ত টিউবলের ব্যবস্থাও করেছেন।
রিক্সা পরিবহনের যাত্রীরা বলেন, এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়। যাত্রা অবস্থায় থাকা মানুষগুলো ইফতার নিয়ে অনেক সমস্যায় পড়েন। সুকর্মা ফাউন্ডেশনের এমন উদ্যোগের কারণে সেসব মানুষগুলো উপকৃত হবেন।