বাকেরগঞ্জে ভূমিদস্যু অলির অন্যের বসতঘরসহ জমি দখলের পাঁয়তারা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বসতঘরের মালিক মোঃ মোতালেব আকন বাদি হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার কবাই ইউনিয়নের কালেরকাঠী গ্রামের মোঃ মোতালেব আকন কালেরকাঠী মৌজায় জেএল নং-১৪২, এসএ খতিয়ান নং-১১৯, হাল দাগ নং-৬৫৫ এ মোট ২২ শতাংশ জমিতে পাকা ঘর নির্মাণ করে বসত করে আসছেন। ওই জমির মধ্যে তিনি ১১ শতাংশ জমি পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত ও ১১ শতাংশ ক্রয়সুত্রে মালিক। কবাই ইউনিয়নের ঢোলা গ্রামের মনির তালুকদার, নিলুফা বেগম, নুর ইসলাম হাওলাদার তার নিকটাত্নীয়। মোতালেব আকন তার দখলকৃত জমির মধ্যে ১১ শতাংশ জমি বিগত ১৪-১৫ বছর আগে মনির তালুকদারের মায়ের নিকট থেকে ২০ হাজার টাকায় ক্রয় করলে তিনি নগদ ১৪ হাজার টাকা নিয়ে জমির ভোগদখল তাকে বুজিয়ে দিলে সেই জমিতে তিনি পাকা স্থাপনা নির্মাণ করেন। মনির তালুকদারের মা বাকি ৬ হাজার টাকা নিয়ে জমির দলীল মোতালেব আকনের নামে করে দেওয়ার কথা থাকলেই দেব-দিচ্ছি করে না দিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে কালক্ষেপন করেন। গত ৫ বছর আগে মনির তালুকদারের মা মারা গেলে তাহার ওয়ারিশরা জমির দলীল মোতালেব আকনের নামে না দিয়ে সেই জমি এলাকার চিহৃিত ভূমিদস্যু মজিবর রহমান অলি মোল্লার কাছে বিক্রি করার পাঁয়তারা করেন। গত ২২ জুন রাত সাড়ে ৮ টার সময় মোতালেব আকন মনির তালুকদারের নিকট তার মায়ের প্রাপ্য জমি বিক্রির ৬ হাজার টাকা নিয়ে তাকে জমির দলীল করে দেয়ার কথা বলিলে তিনিসহ তার বোন নিলুফা বেগম ও ভগ্নিপতি নূর ইসলাম হাওলাদার তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও খুন-জখমের হুমকি দেয়। মোতালেব আকন সাংবাদিকদের জানান, মনিরের নিকট থেকে এলাকার চিহৃিত ভূমিদস্যু মজিবর রহমান অলি মোল্লা জমি ক্রয় করে তাহার বসতভিটা দখল করার পাঁয়তারা করছেন। এতে তিনি ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন। উল্লেখ্য ভূমিদস্যু মজিবর রহমান অলি মোল্লার বিরুদ্ধে ডাকাতি, জাল টাকার ব্যবসা, সুদি ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। তিনি বিভিন্ন মামলায় একাধিকবার জেল খেটেছেন।