২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেট পেশের আগেই দাম বেড়েছিল সয়াবিনের। তবে বাজেটের পরদিন শুক্রবার (৪ জুন) বাড়তি দামে বিক্রি হয়েছে বোতলজাত সয়াবিন তেল। পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা। মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ২-৩ টাকা। এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে বড় ব্যবসায়ীরা আগেই দাম বাড়িয়েছেন। বাজেট উপলক্ষে আজ থেকে সয়াবিনের বাড়তি দামের বোতল বাজারে ঢুকেছে।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৫ লিটার বোতলের সয়াবিন বিক্রি হয়েছিল ৬৬৫ টাকায়। শুক্রবার তা বিক্রি হচ্ছে ৭২৮ টাকায়। একইভাবে সকাল থেকে বেড়েছে পেঁয়াজের দামও। সাধারণ পেঁয়াজ (হাইব্রিড) বৃহস্পতিবার থেকে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়। যা আগে ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। দেশি জাতের পাবনাসহ উত্তরাঞ্চলের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। আগে যা ছিল ৫০ থেকে ৫২ টাকায়। একইভাবে চালের দাম বেড়েছে কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা।
পাবনা কাশিনাথপুরের চাউল ব্যবসায়ীরা জানান, বাজেটের কারণে মোটা চালের দাম বেড়েছে। মিনিকেট চালের দাম যেটুকু কমেছিল বাজেটের পর সেটা আগের দামে ফিরে গেছে। মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা।এদিকে মিনিকেট ১ নম্বরটা বেড়ে ৬২ টাকা হয়েছিল। পরে কমে ৫৬ টাকা হয়েছিল। আজ থেকে আবার ৬২ টাকা। মোটা চাল কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা। বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৬ টাকায়। এই বাজারের পেঁয়াজ-রসুন ব্যবসায়ীরা জানান, পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা। আগামীকাল শনিবার থেকে দাম আরো বাড়ার কথা।
এদিকে দেখা গেছে ভোক্তাদের অভিযোগের কথা, ভোক্তারা বলছে করোনা কালীন সময়ে এমনিতে আয় রোজগার কম। তারপরেও যদি এমনভাবে বাড়তে থাকে নিত্য প্রায়োজনীয় খাদ্যের বাজার তাহলে সত্যি হতাশা জনক।