মাওনা হাইওয়ের সদস্যরা চব্বিশ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করলেও, নতুন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আমিনুল ইসলাম যোগদানের পর এবার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরালো করা হয়েছে। ফলে গত একমাসে মাওনা হাইওয়ে থানার আওতাধীন ভবানীপুর থেকে জৈনা বাজার পর্যন্ত(২০)কিলোমিটার মহাসড়ক এলাকায় প্রায় ১৫০টি মামলা হয়েছে চালকসহ গাড়ি আটক করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ইতোমধ্যেই অতিরিক্ত টহল পুলিশ মোতায়েন রাখাসহ অফিসার ফোর্স মিলে ৩০সদস্য নিরলস ভাবে কাজ করছেন। স্পিডগান না থাকার কারণে দ্রুত গতির যানবাহন শনাক্ত করতে পারছেন না।
এছাড়া চালক ও মালিকদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করা হচ্ছে।হাইওয়ে পুলিশের সূত্রমতে, মহাসড়কে বেপারোয়া গতি, পাল্লা দিয়ে যানবাহন চালানো, আইন ভেঙ্গে ইউটার্ন নেয়া , উল্টো পথের গাড়ি ক্রটিপূর্ণ ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন চালনাসহ নানা অসতর্কতার কারণে সড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা। আর এসব দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে নিরলস পরিশ্রম করছে মাওনা হাইওয়ে পুলিশ। চলতি মার্চ মাসে সিএনজি, থ্রি হুইলারসহ শতাধিক যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা ও আটক করা হয়। এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা করে জরিমানা অর্থ আদায় করার জন্য পঞ্চ মেশিন ব্যবহার করা হয়।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা গুলো চিহ্নিত করেই সর্তকতামূলক সাইন বোর্ড বাড়ানো,পরিবহন সেক্টরে চালক হেলপারদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা আরো বাড়ানো দরকার। পাশাপাশি পথচারীদেরও সচেতন করা হলে সড়কে দূর্ঘটনাটা অনেকটা কমে যাবে।
মাওনা হাইওয়ে পুলিশ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো:আমিনুল ইসলাম বলেন,অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় বর্তমানে হাইওয়ে পুলিশ বেশি কাজ করছে। বিশেষ করে নতুন কোন দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত হয়নি। চিহ্নিত দুর্ঘটনাপ্রবণ স্পটগুলোতে সাইনবোর্ড লাগানো হবে।মাওনা হাইওয়ে ফারিতে সার্বক্ষণিক রেকার রাখা হয়। যাতে কোন যানবাহন দুর্ঘটনা পড়লে দ্রুত সরানো যায়। যানজট সৃষ্টি না হয়। রাস্তায় টহলও জোরদার হয়েছে। যাতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
তিনি আরও বলেন, কঠোর আইন প্রয়োগ ছাড়াও মানবিকতা এবং আধুনিকতা দিয়ে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। চালক এবং মালিকদেরকে সচেতনতামূলক ব্রিফিং করা হচ্ছে নিয়মিত। কোন চালক যাতে সড়কে,
মহাসড়কে বেপারোয়া গতি, পাল্লা দিয়ে যানবাহন চালানো থেকে বিরত থাকে সে ব্যাপারে চালকদের বারবার সচেতন করা হচ্ছে।
মাওনা হাইওয়ে থানা এর সকল পুলিশ সদস্যদেরকে মানবিক এবং পেশাদারিত্বের নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। জনসাধারণ এবং যানবাহন চালকরা সচেতন হলে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা সহজ হবে বলে অভিমত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো:আমিনুল ইসলাম।