মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সেলিম রেজা ১৬ হাজার ৫৭৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান র্নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী ইদ্রিস আলী নৌকা প্রতীক নিয়ে ১০ হাজার ৭২৮ ভোট পেয়েছেন।
বুড়িপোতা ইউনিয়নের নির্বাচনে শাহজামাল ১২ হাজার ৬৩১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী আব্দুর রেজা ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ১১ হাজার ৪১৪ ভোট পেয়েছেন।
রবিবার সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটদান করবো চলে। কুতুবপুর ইউনিয়নের মোট ৩৪ হাজার ৬৭ জন ভোটারের মধ্যে ২৮ হাজার ৫৫১জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে ৭৩০ টি ভোট বাতিল হয়ে যায়। নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিম রেজা পেয়েছেন ১৬ হাজার ৫৭৪ ভোট এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এদিকে শাড়ি নৌকা প্রতীক নিয়ে ১০ হাজার ৭২৮ ভোট পান। ভোট প্রদানের শতকরা হার ৮৪%৬৯ ভাগ।
বুড়িপোতা ইউনিয়নের মোট ৩৪ হাজার ৪০৪ জন ভোটারের মধ্যে ২৪ হাজার ৭৪৭জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে ৫৭৭ টি ভোট বাতিল হয়ে যায়। নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ মনোনীত শাহজামাল পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৩১ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রেজা ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ১১ হাজার ৪১৩ ভোট পান। ভোট প্রদানের শতকরা হার ৮১%৩ ভাগ।
গাংনী উপজেলার ৩ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।
রাইপুর ইউনিয়নে গোলাম সাকলায়েন ছেপু (নৌকা), ষোলটাকা ইউনিয়নে আনোয়ার পাশা (আ.লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র) ও কাজিপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহা. আলম হুসাইন বিজয়ী হয়েছেন।
অপরদিকে বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় ধানখোলা ইউনিয়নে আব্দুর রাজ্জাক (নৌকা) বিজয়ী হয়েছেন।
রাইপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী গোলাম সাকলায়েন ছেপু ১ হাজার ১১৪ ভোটে জয়ী হয়েছে। নৌকা প্রতীকে তিনি ভোট পেয়েছেন ৫ হাজার ২৫৯। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুর রব (আনারস) পেয়েছেন ৪ হাজার ১৪৫ ভোট। বিএনপির সাবেক চেয়ারম্যান সাবদার হোসেন কালু (মোটর সাইকেল) পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৯৮ ভোট।
ষোলটাকা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগ নেতা আনোয়ার পাশা (আনারস) ১৯৯ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৩০ ভোট। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দী দেলবার হোসেন (নৌকা) ৪ হাজার ৭৩১ ভোট পেয়েছেন। বিএনপি সমর্থীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান (মোটর সাইকেল) পেয়েছেন ৪ হাজার ৬১০ ভোট। জাতীয় প্রার্থী জান মহাম্মদ মিন্টু (লাঙ্গল) ১ হাজার ২৫০ ভোট পেয়েছেন।
কাজিপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহা. আলম হুসাইন ৪৫৭ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। চশমা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ১১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগ নেতা আব্দুল আলিম (টেবিলফ্যান) পেয়েছেন ৬ হাজার ৫৫৪ ভোট। নৌকা প্রতীক নিয়ে রেজাউল হক পেয়েছেন ৪ হাজার ৬৪০ ভোট। গোলাম সরওয়ার (দুটি পাতা) ৩ হাজার ১১৮ ভোট, আব্দুর রশিদ (আনারস) ২ হাজার ৪০৫ ভোট এবং আব্বাস আলী (মোটর সাইকেল) ৫৪২ ভোট পেয়েছেন।
ধানখোলা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় বিজয়ী হন। ফলে ধানখোলা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ভোট গ্রহণের প্রয়োজন হয়নি। শুধুমাত্র ওয়ার্ড মেম্বর ও সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর পদে ভোট গ্রহণ করা হয়।