মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের বামন্দি সাব জোনাল অফিসের লাইন টেকনিশিয়ান আমজাদ হোসেনের মেয়ে আখি খাতুন (২৮) এর যথাযথভাবে চিকিৎসা না করাতে পারায় তার মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে কুষ্টিয়া সরকারী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তবে রোগিকে উন্নত চিকিৎসা করানো গেলে সে বেঁচে যেত বলে অভিযোগ করেছেন তার পিতা আমজাদ হোসেন । আমজাদ হোসেন কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা।
এঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের বামন্দি সাব জোনাল অফিসের এজিএম কমের কাছে বার বার ছুটির আবেদন করলেও ছুটি না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছে লাইন টেকনিশিয়ান আমজাদ হোসেন।
লাইন টেকনিশিয়ান আমজাদ হোসেন জানান, আমার মেয়ে বেশ কিছুদিন যাবৎ পেটের অসুখে ভুগছিল। কম স্যারের কাছে বার বার ছুটির আবেদন করলেও তিনি ছুটি দিতে চান না। এর আগে জিএম স্যারকে বলে ছুটি নিয়েছিলাম। তিনি খুব ভাল মানুষ। আমার মেয়ের শারিরীক অবস্থার অবনতির দিকে গেলে সপ্তাহ খানেক আগে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করানো হয়। এবারও বার বার ছুটির কথা বললে, এজিএম কম স্যার ছুটি দিতে চায় না।
পরে বুধবার রাত ৮ টা থেকে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ডিউটি করিয়ে নিয়ে ছুটি দেয়। এরই মধ্যে আমার মেয়েকে রাজশাহী থেকে নিয়ে এসে কুষ্টিয়ায় ভর্তি করানো হয়।
আমি বুধবার বেলা ১২টার দিকে ডিউটি শেষ করে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিই। সন্ধ্যা ৬টার দিকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার মেয়ের মৃত্যু হয়। আমি যদি নিজে থাকতে পারতাম ও ভালোভাবে চিকিৎসা করাতে পারতাম তাহলে আমার মেয়ে হয়ত বেঁচে যেত।
কিন্তু কম স্যার আমার মেয়ের চিকিৎসা করাতে দিল না।
পল্লী বিদ্যুতের বামন্দি সাব জোনাল অফিসের এজিএম কম শামীম রেজা জানান, করোনা কালীন সময়ে স্টাফদের ছুটির বিষয়ে সরকারী নিষেধাজ্ঞা ছিল। তারপরেও জিএম স্যারের সাথে কথা বলে তাকে একবার ছুটি দেওয়া হয়েছিল ।
মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার নুর মোহাম্মদ জানান, আমজাদ সাহেবকে ফোন করেছিলাম খুব দুঃখ জনক ঘটনা। উনি এর আগে আমাকে ছুটির বিষয় জানালে তাকে ছুটি দেওয়া হয়েছিল । এবার আমাকে জানায়নি। এখন তো যা হবার তা হয়ে গেছে কি করার।