রাজধানী ঢাকায় আজ সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এদিকে সকালে বৃষ্টিতে রাজধানীর অধিকাংশ এলাকার রাজপথ এবং অলিগলি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ফলে অফিসগামী যাত্রীদের ভীষণ অসুবিধায় পড়তে হয়েছে। আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন জানান, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনাসহ দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এছাড়া রাজশাহী, রংপুরে কিছু কিছু এলাকায় হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হবে। ঢাকায় দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। এদিকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ সম্পর্কে আবহাওয়া অফিসের ডিউটি অ্যাসিসটেন্ট মো. খলিলুর রহমান বলেন, সারাদেশে কী পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে সেটি তারা পরে জানাতে পারবেন। সকালে বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর উত্তরা, মিরপুর, বসুন্ধরা আবাসিক, রাজাবাজার, গ্রিনরোড, রোকেয়া সরণির বড় অংশ, মোহাম্মদপুরের বেশকিছু এলাকায় পানি জমে। ফলে অফিসগামী যাত্রীরা পড়েন বিপাকে। কমলাপুরবাসী অফিসগামী কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, ‘বৃষ্টি হলেই আটকে যেতে হয়। বাসা থেকে নেমে রাস্তায় বের হওয়ার কোনও সুযোগ নেই। চারপাশের সব জায়গায় শুধু পানি। ’ উত্তরার রাশেদুল হাসান বলেন, ‘এবার বর্ষা মৌসুমে এটাই সবচেয়ে ভারী বৃষ্টি মনে হলো। পানি জমে যাওয়ার সঙ্গে আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু এই হয়রানির শেষ কোথায়? বৃষ্টির মৌসুমে বৃষ্টি হবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পানি না জমার স্থায়ী সমাধান দরকার।’ ভরে গেছে হাতিরঝিলের স্যুয়ারেজ দীর্ঘদিন পরিষ্কার না করায় হাতিরঝিলের স্যুয়ারেজ লাইনগুলো ভরাট হয়ে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ। রক্ষণাবেক্ষণের অর্থ বরাদ্দ না থাকায় স্যুয়ারেজ লাইন পরিষ্কার করা হয়নি। এ কারণে ড্রেনেজ লাইনে আবর্জনা জমে ধারণক্ষমতা কমেছে। ফলে শুষ্ক মৌসুমেও পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বর্ষা মৌসুমের আগে পরিষ্কার করা না হলে হাতিরঝিলের পাশের এলাকার পানি পাইপে প্রবেশ করতে পারবে না। এতে সৃষ্টি হবে জলাবদ্ধতা। বর্তমানে প্রকল্পের আওতায় নির্মিত স্যুয়ার নেটওয়ার্কে ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে পানির প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় ময়লা পানিও ঢুকে পড়ে। এতে প্রকল্পের পরিবেশ নষ্ট হয়। পানিতে ছড়িয়ে পড়ে দুর্গন্ধ। ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘হাতিরঝিলে পানি যেখান দিয়ে যাবে সেটি কিন্তু রাজউকের। এখন রাজউকের ড্রেন কে পরিষ্কার করবে? আমরা ড্রেন করে ফেলেছি। এই অল্প একটু (রাজউকের ড্রেন) কাজের জন্য আমি বসে থাকব না। এই কাজ হয় রাজউক করবে, না হয় আমি বলবো-হাতিরঝিল যদি মেইনটেইন করতে না পারেন, আমাদের দিয়ে দিন। খালের মতো হাতিরঝিলের পুরো দায়িত্ব ডিএনসিসিকে বুঝিয়ে দিলে সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণসহ এর সৌন্দর্যবর্ধনেও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’