লালপুরে মটর সাইকেল ক্রয়কে কেন্দ্র করে হামলা ও মারপিটের শিকার হয়েছে এক যুবক।
শনিবার (৮জানুয়ারি) আহত যুবকের ভাই লালপুর উপজেলার চকবাদ কয়া গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম রবি জানান, সে একটি পুরাতন মটর সাইকেল ক্রয় করিলে, রাজশাহী জেলার বাঘা থানার দক্ষিণ মিলিক বাঘা গ্রামের শমজান আলীর ছেলে লিটন আলী ওই মটর সাইকেল টি ক্রয় করতে চাইলে দামে না মেললে মটর সাইকেল টি অন্যত্রে বিক্রয় করায়, লিটন ক্ষিপ্ত হয়।বৃহস্পতিবার ৬ জানুয়ারি এব্যাপারে সকালে লিটন রবিউল কে মোবাইল ফোনে প্রান নাশের হুমকি দেয়, যেমন কথা তেমন কাজ ভেবে ওই দিন সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে লালপুর উপজেলার পাইকপাড়া সেন্টার বাজারে রবির মটর সাইকেল মেকারের দোকানে লিটনসহ ৮/১০টি মটর সাইকেল নিয়ে বাঘা রাজশাহীর ১৫ /১৬ জনের একটি সন্ত্রাসী দল নিয়ে রবির দোকানে আক্রমণ করে। এসয় রবিউল কে না পেয়ে তার ছোট ভাই কবির কে মার ধোর করে ওঠে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এমন সময় স্থানীয় দোকানদার গন তাদের প্রতিহত করে তাদের দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করে। পরে লালপুর থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়।কিন্তু বিষয় টি দুই উপজেলার গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের সহায়তার পাইকপাড়া সেন্টার বাজারে স্থানীয় ভাবে মিমাংসা হলে ৭ জানুয়ারি সকালে কবির তার শিশু সন্তান বাঘা হাসপাতালে চিকিৎসাধীনকে দেখতে গেলে আগে থেকে ওত পেতে থাকা লিটন (২৮),রাসেল (৩০)ও তার দলবল কবির (৩২)কে বাঘা মাজার শরীফ গেটে একা পেয়ে হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে মারপিট শুরু করে সেময় তাদের আঘাতে কবিরের ডান পা ভেঙে দেয় ও মাথায় গুরুতর জখম করে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়। স্থানীয় দোকান মালিকগন কবির কে উদ্ধার করে বাঘা স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করে,পরে তার লোকজন কবির কে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে সে লালপুর হাসপাতালে চিকিৎস্বাধীন রয়েছে। এব্যাপারে অভিযুক্ত লিটন ঘটনার বিষয় অস্বীকার করেন। বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান এঘটনায় অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।