পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, গত পাঁচ বছর আগে হরিপুর গ্রামের গোলাম রব্বানীর মেয়ে সোমার বিয়ে হয় একই গ্রামের রহমত আলীর ছেলে আল আমিনের সাথে। ঘরে তাদের একটি মেয়ে (৪) ও একটি ছেলে (দেড় বছর) রয়েছে। আল আমিন পূর্ব থেকেই জুয়া খেলায় আসক্ত ছিল। সম্প্রতি কয়েক দিনে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা জুয়া খেলে লোকসান দেয়। ঘটনার দিনও সকাল থেকে জুয়া খেলে দুপুরে বাড়ী এসে স্ত্রী সোমার সাথে ঝগড়া বাঁধায়। স্বামীকে শাসন না করতে পারলেও নিষেধ টুকুও করতে পারত না। স্বামীকে দু’চার কথা বলতে না বলতেই স্বামী আল আমিন সোমাকে মারতে থাকে এপর্যায় সোমাকে গলা টিপে ধরলে সাথে সাথে সোমা মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে। পরে সোমার মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে আল আমিন বাড়ী থেকে পালিয়ে যান বলে জানা যায়। কিছুক্ষণ পরে বিষয়টি বাড়ীর অন্যান্য লোকদের নজরে এলে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার (তদন্ত কর্মকর্তা) আঃ মজিদ জানান, এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই জুয়েল মিয়া শুক্রবার রাতে স্বামী আল আমিন, শ্বশুর রহমান মন্ডল ও শাশুড়ি ময়না বেগমের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ তুলে মামলা দাযের করেছেন। ঘটনার পর থেকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। শনিবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।