স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, মৃত হুরমুজ আলী মন্ডলের দ্বিতীয় পক্ষের বড় ছেলে আঃ গফুর তাঁর নিজ বসত বাড়ীতে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য আরসিসি ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করছিলেন।
এমন সময় তাঁর বৈমাত্রেয় ভাই ও ভাতিজারা লাঠিসোটা নিয়ে এসে অতর্কিত হামলা করে ঘরবাড়ী ভাংচুর করে এবং একপর্যায়ে আব্দুল গফুরকে মারতে মারতে বাড়ীর পার্শ্বে মেইন রোড়ের মধ্যে নিয়ে বিবস্ত্র করে ফেলে।
এমতাবস্থায় আব্দুল গফুরের স্ত্রী স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তাকেও মারপিট করে। আহতদের ডাকচিৎকারে পাশবর্তী লোকজন চলে এলে নির্যাতনকারীরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যান বলে জানান আব্দুল গফুরের পরিবার।
আহত আব্দুল গফুর বলেন, তাঁর বাবা প্রায় ৪০ বছর পূর্বে মারা গেছেন এবং তিনি মারা যাওয়ার পর বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি সকল ভাইবোন মিলে ভাগাভাগি করে নেন। আজ তিনি যেখানে বসতবাড়ী করে আছেন। এখানে একসময় গর্ত ছিল। মাটি ভরাট করে ছোট্ট একটি ঘর তুলে প্রায় ৩০ বছর যাবৎ বসবাস করে আসছেন। আজ বাড়ীর পাশ দিয়ে উন্নত রাস্তাঘাট ও দোকানপাট হওয়ায়,জমির দাম দশগুণ বেড়ে গেছে বলে তাঁর বৈমাত্রেয় ভাই ও ভাতিজাদের লোভাতুর চোখ পড়েছে তাঁর সম্পত্তির উপর।
আব্দুল গফুর আরও বলেন, বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি হতে প্রাপ্ত এবং বোনদের নিকট হতে ক্রয়কৃত স্বত্ব দখলীয় ভূমিতে আমি দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করে আসছি। তবুও আমার বৈমাত্র ভাই আঃ বারেক ও হাবিবুর এবং ভাতিজা মজনু ও টিপুসহ আমার সুখের দিন দেখে হিংসায় অযুক্তিক দাবি নিয়ে আমার উপর হামলা ও নির্যাতন করছে। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।
উল্লেখ্য: হামলাকারীদের সর্ব সাং- টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার পাছনখালী গ্রামে। দুটি থানারই সীমান্তবর্তী এলাকা।