জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বসতঘর ফাঁকা পেয়ে সোবাহান নামে এক ব্যক্তি আপন ভাতিজিকে ধর্ষণের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত (২৯মে) রবিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের হাটবাড়ী কামারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নারী ঐ এলাকার আবুল কাশেম এর বড় মেয়ে ও রফিকুল ইসলাম গুদুর স্ত্রী কাকলী বেগম (২২)।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৯মে শনিবার রাত অনুমানিক সাড়ে ৯ টার দিকে রাতে রান্না করছিল রান্নাঘরে। এমন সময় বাড়ীতে আর কেউ না থাকায় ঘরে চুপি সারে প্রবেশ করে দুৎচরিত্রা, নারীলোভী, লম্পট জ্যেঠা সোবাহান। এদিকে কাকলীকে পিছন থেকে এসে অতর্কিত জড়িয়ে ধরে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণে করার চেষ্টা করে ।একপর্যায় নিজেকে রক্ষা করার জন্য ডাকচিৎকার করলে আশপাশের লোকজন চলে আসে এবং সে দৌঁড়ে পালিয়ে যায় বলে জানান।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী রফিকুল ইসলাম গুদু জানান, তিনি একজন বাস গাড়ির চালক। গাড়ি নিয়ে নারায়ণগঞ্জ ছিলেন। বাড়িতে শুধু তার স্ত্রী এবং ৪ বছরের একটি ছেলে ছিলো। সে বাড়িতে আসার পর জানতে পারে তার স্ত্রীর সাথে অশ্লীলতা করছে আপন জ্যেঠা শশুর। বিষয়টি জানার পর এলাকার নেতৃত্বস্থানীয় মাতাব্বরদের কাছে বিষয়টি জানান এবং এর সুষ্ঠ বিচার চান। কিন্তু ধর্ষণের চেষ্টাকারীর সোবাহানের ছোট ছেলে রাশেদুল ইসলাম রাজনৈতিক দাপট দেখিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারবর্গকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেন। তা না হলে সবকটাকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা আবুল কাশেম বলেন ,তাঁর ছোট মেয়ে সাগরিকা দীর্ঘদিন যাবত চোখের সমস্যা নিয়ে অসুস্থতায় ভোগছেন। যার ধরুন তাকে সুচিকিৎসার জন্য ডাক্তার দেখাতে তাঁরা স্বপরিবারে ঢাকায় যান। অপরদিকে কাকলীর স্বামী গাড়ী নিয়ে নারায়নগঞ্জ থাকার কারণে সেও বাড়ী ছিল না বলে জানান।
তিনি আরও জানান, তাঁর বড় ভাইয়ের স্ত্রী, বিগত ৮/১০ মাস পূর্বে মারা গেছে । তাই সে বউ পাগলা হয়ে বিয়ে করার জন্য ধারেধারে ঘুরে বেড়ায় জানি। কিন্তু বিশ্বাসী করতে পারিনা ,এই বয়সে সে তাঁর আপন ভাতিজির সাথে এমন অপকর্ম করার চেষ্টা করবে এটা আমার বোধগম্যে আসেনা। আমি বড়ই হতাশ হয়ে পড়েছি। আমি এই অমানুষ পশুটার উচিত বিচার চাই।
অভিযুক্ত সোবাহান বলেন, আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। আমি এসব করিনি। খড়ের পালা নিয়ে ঝগড়া তাই আমাকে ফাঁসানোর জন্য তারা মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মীর রকিবুল হক জানান, তিনি বিশেষ কাজে বাহিরে থাকায় এবিষয়ে অবগত নন।
তবে উল্লেখ্য যে, গত (২জুন) রাতে বিট পুলিশিং ৩নং ডোয়াইল ইউনিয়ন কার্যালয়ের কর্তব্যরত অফিসার তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল তদন্ত করে এসেছেন বলে জানান এলাকাবাসী।