জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হওয়ার সময় প্রেমিক-প্রেমিকা জনতার হাতে আটক হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সুযোগ বুঝে ঘটনাস্থল থেকে লম্পট প্রেমিক কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ীতে প্রেমিকর অনশন করেন। গত রবিবার (২০ জুন)দুপুর ২টার দিকে উপেজলার পিংনা ইউনিয়নের কাওয়ামারা গ্রামের (পিংনা সুজাত আলী ডিগ্রী কলেজ) এলাকায় এঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আনুমানিক দুপুর ২টায় এই প্রেমিক-প্রেমিকা নির্জন কলেজের ভিতর প্রবেশ করে এবং দীর্ঘক্ষণ তাদের বের হওয়ার কোন সাড়াশব্দ না পাওয়ায়। পরে কয়েকজন মিলে বিষয়টি কলেজের ভিতর প্রত্যক্ষ করতে যান। তাদের অসামাজিকতা দেখে দুজনকেই আটক করেন এলাকাবাসী। পরে লোকজন জমায়েত হতে থাকে, এমতাবস্থায় সুযোগ বুঝে পরকীয়া প্রেমিক কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে পরকীয়া প্রেমিকা বিয়ের দাবিতে প্রেমিক সাব্বির এর বাড়ীতে গিয়ে অনশন করছে।
এদিকে পরকীয়া যুগলদ্বয় সম্পর্কে স্থানীয়রা জানান, পিংনা কাওয়ামারা গ্রামের পূর্বপাড়া মজর আলীর কলেজ পড়ুয়া ছেলে সাব্বীর(২৪) এবং একই গ্রামের তফেল উদ্দিনের মেয়ে সাগরিকা(২০) পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। তাঁরা ২ বছর যাবৎ চুটিয়ে প্রেম করে আসেছে বলে জানান সাগরিকা। স্থানীয়রা আরো জানান, সাগরিকা‘র ইতিপূর্বেও দুই বিয়ে হয়েছে ২ ছেলের সাথে। তাঁর প্রথম স্বামী অপছন্দ হওয়ায় এবং সাংসারিক বনিবনাত্ত না হওয়ায় সে চলে আসে বাপের বাড়ী। পরে তাঁর বাবা পিংনা চিতুলীয়া গ্রামে রজব আলীর ছেলে নাজাতের সাথে তাকে বিয়ে দেন। নাজাত আলী ঢাকায় প্রাণ কোম্পানীতে চাকুরী করার সুবাদে সে সাব্বির এর সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। সাগরিকার অনশনে সাব্বির এর পরিবার ঘর তালা দিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন বলে জানান এলাকাবাসী।
অনশনে থাকা সাগরিকা বলেন, সে বিয়ের দাবিতে এই বাড়ীতে এসেছেন। সাব্বির তাকে বিয়ে না করলে সে এখানে আত্মহত্যা করবেন।
তাই এ বিষয়ে এলাকাবাসী সমাজের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রশাসনে সু-দৃষ্টি কামনা করছেন।