দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় ভাসছে সিলেট-সুনামগঞ্জসহ সিলেট বিভাগের বেশ কয়েকটি জেলা। বলা হচ্ছে ১২২ বছরের মধ্যে এ রকম বন্যা দেখেনি সিলেটবাসী। সিলেটের বন্যার্ত মানুষের এই দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়েছে বেসরকারি সংগঠন সুর্কমা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।
(২১ থেকে ২৮ জুন) সকাল থেকে ‘সুনামগঞ্জ সিলেটের বন্যাকবলিত মানুষের পাশে সুকর্মা ফাউন্ডেশনের ‘ ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে।
বন্যা শুরু হওয়ার পর ২১- ২৮ জুন পর্যন্ত সিলেট-সুনামগঞ্জের বন্যার্ত প্রায় ১৬-১৮ হাজার পরিবারের সদস্যদেরকে শুকনো খাবার ও রান্না করা খাবার তুলে দিয়েছে মানবতায় সেবায় নিয়োজিত এই সুকর্মা ফাউন্ডেশন।
গত এক সপ্তাহে সিলেট-সুনাগঞ্জের ফুলবরি, রঙ্গিয়ার চর, নয়া বারুঙ্কা, খলচানপুর, সাহাপুর, সাতগাঁও, অনন্তপুর, রাজেন্রপুর গ্রামের শিশু থেকে শুরু করে প্রায় ১৬-১৮ হাজার পরিবারের সদস্য কে রান্না করা খাবার (ভাত, ডাল, সবজি, মাংস, খিচুড়ি) এবং প্রায় কয়েক হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার (চিড়া, মুড়ি, গুড়, বিস্কুট)। রান্না করা ও শুকনো খাবারের সাথে ‘বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন’ চিকিৎসা সেবা প্রদান ও ওষুধ, সেনেটারি ন্যাপকিন বিতরণের কার্যক্রম ছিল অব্যাহত।
সুকর্মা ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডার শেখ সুহানা বলেন,
দূর্যোগের মধ্যে রান্না করে ২০০০ মানুষকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা অনেক কঠিন অনেক শ্রম এবং ধর্য্যসাপেক্ষ। সুকর্মা টিম এই সব মাথায় নিয়ে, সব ধরনের ট্রেস সহ্য করে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে। আলহামদুলিল্লাহ, সেইসাথে আশ্রয় কেন্দ্রের ২০০ রকম পরিবারের মধ্যে আমরা বন্ধন তৈরী করতে পেরেছি। সবাই কিন্তু সুকর্মা টিমের সাথে কাজ করে হাসিমুখে। শিশুরাও অনেক খুশি।
আজ ওঁদের খাবারের মেন্যু ছিল সাদা ভাত আর ডিম আলু ভুনা। এটাই আমাদের সার্থকতা।
মানুষের বাঁচার তীব্র আকুতিতে সাড়া দিয়ে সুকর্মা ফাউন্ডেশনের মতো দেশ ও দেশের বাইরের সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সুকর্মা ফাউন্ডেশনের কো ফাউন্ডার শেখ সুহানা, ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ সৈকত,
প্রযেক্ট কো অর্ডিনেটর,আরিয়ান, প্রযেক্ট ম্যানেজার
তন্নি, সদস্য ডাক্তার আফসানা, ডাক্তার মুহসিনসহ আরও অনেকে।